নারী
নারী জাতিকে আমরা যতই আবেগি বলি, দুর্বল বলি না কেন, তাদের কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা কিন্তু সত্যিই অসাধারণ; নারীরা হয়তো তেলাপোকা দেখে ভয় পেয়ে চিৎকার করে, ছোট ছোট বিষয়ে উহ, আহ করে কেঁদে দেয়, পিঁপড়ের কামড়ের মতো সামান্য ব্যথার ইনজেকশনের সূচ ফোটানোটর আগ মূহুর্ত পর্যন্ত ভয়ে চেঁচিয়ে বাড়ি মাথায় তোলে, কিন্তু এই নারী জাতিই আবার প্রয়োজনে ডেলিভারির মতো কয়েকশগুণ কষ্টও সহ্য করে নেয় অবলীলায়; নারী জাতি বড্ড অভিমানী প্রকৃতির... এরা ভালোবাসার মানুষের গায়ে যেমন কোনো রকম কষ্টের আচ লাগতে দিতে পারে না, ঠিক তেমনি ভালোবাসার মানুষগুলোর সামান্যতম অবহেলা, অসম্মান, অনাদরও নিজেরা মেনে নিতে পারে না, তাই তো ছোট খাটো বিষয়ে-- অভিমান করে, ঝগড়া করে, কখনো কখনো ছোট একটি আঘাতে অঝোরে কেঁদেও দেয়, কিন্তু! এই নারীরাই আবার চিরচেনা মানুষ, পঁচিশ বছরের জীবন, মা-বাবা সহ প্রিয় মানুষজনকে ছেড়ে থাকার কষ্ট হাসি মুখে সহ্য করে নেয় দিব্যি; কখনো কি ভেবে দেখেছেন? নারী জাতিকে জন্মের পর থেকেই কতটা ত্যাগস্বীকার করতে হয়! প্রথমে তাদের ত্যাগ করতে হয় নিজেদের ইচ্ছে গুলোকে, তার পর তাদের ত্যাগ করতে হয় মনের অনুভূতি গুলোকে, তার পর ত্যাগ করতে হয় পিতার ঘ